ইসরায়েলবিরোধী উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতেও। অপরদিকে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইতোমধ্যেই ইসরায়েল সীমান্তে হানা দিয়েছেন জর্ডান ও লেবাননের ফিলিস্তিনিপন্থীরা। যোগ দিয়েছেন সিরিয়ার বাসিন্দারাও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল সীমান্তের কিং অ্যালেনবাই সেতুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শত শত জর্ডানিয়ান। জর্ডান থেকে ইসরায়েলে চলাচলের অন্যতম মাধ্যম এই সেতুটি।
শুক্রবার সীমান্ত পার হয়ে ইসরায়েলের মেতুলা শহরে ঢুকে গেছেন লেবাননের একদল বিক্ষোভকারী। তাদের ওপর ‘সতর্কতামূলক’ গুলি ছোড়ার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত এক লেবানিজ নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের বিরোধিতায় যোগ দিয়েছেন সিরিয়ার ফিলিস্তিনিপন্থী মানুষেরাও। গত শুক্রবার সিরিয়া থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে তিনটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দু’টি গোলান মালভূমিতে এবং একটি রকেট সিরিয়ার ভেতরে পড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হননি।
এর আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের দিকে কমপক্ষে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হানায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরও কযেকটি দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই পক্ষকেই যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে বাহরাইন।
মিসর ইসরায়েলি ও হামাস নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করেছে। অবশ্য তাতে এখনও পর্যন্ত কোনো সুফল আসেনি।