গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের চাকরিচ্যুতি চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ রোববার সকাল থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা তাঁদের পাঁচ দফা দাবি লিখিত আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার কাছে জমা দেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা ছাড়া শিক্ষার্থীদের বাকি চার দাবি হলো ঘটনার শিকার ছাত্রীদের আর কোনো হয়রানি করা হবে না—সে বিষয়ে নিশ্চয়তা, কার্যদিবস ও অফিস ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক ছাত্রীদের অন্য কোথাও ডাকতে পারবেন না, কোনো শিক্ষক বিশ্ববিদালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকি দিতে পারবেন না এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ ডিপার্টমেন্টভিত্তিক ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
সিএসই বিভাগের কয়েকজন ছাত্রী জানান, বিভাগীয় প্রধান মো. আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরেই দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে তখন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি; বরং তদন্তের নামে বারবার কালক্ষেপণ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো. আক্কাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁর ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়। তাঁর কার্যালয়ে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।