গত সাত দিন ধরে চলা ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের লড়াইয়ে তিন হাজার রকেট ছুড়েছে প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। একজন শীর্ষস্থানীয় ইসরায়েলি জেনারেল হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম পার্সটুডে।
তিনি বলেছেন, চলমান সংঘর্ষে এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক রকেট হামলার শিকার হয়েছে ইসরায়েল।
রোববার (১৬ মে) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হোম ফ্রন্টের কমান্ডার মেজর জেনারেল ওরি গরডিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত কয়েক দিনে গাজা থেকে হামাস ইসরায়েল অভিমুখে প্রায় তিন হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের সংঘর্ষে গাজা থেকে এত বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়নি এবং ২০০৬ সালের সংঘর্ষে লেবাননের হিজবুল্লাহও এত বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি।
জেনারেল গরডিন একটি গ্রাফিক দেখিয়ে বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিন দিনের সংঘাতে গাজাভিত্তিক ইসলামি জিহাদ আন্দোলন মাত্র ৫৭০টি রকেট নিক্ষেপ করেছিল। এ ছাড়া ২০০৬ সালে লেবাননের হিজবুল্লাহ ১৯ দিনে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করে মোট ৪ হাজার ৫০০ রকেট ছুড়েছিল। ইসরায়েলি এই জেনারেল বলেন, দিনের হিসাবে গড়ে বর্তমান সংঘর্ষে সর্বাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস।
এর আগে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন আল কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, ‘আল্লাহ সাহায্যে আমরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ছয় মাস যুদ্ধের চালিয়ে যাওয়ার মতো ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ রেখেছি।’ আবু ওবায়দা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘গাজার আবাসিক ভবনে নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের জন্য শিগগিরই বড় ধরনের পরিণতি অপেক্ষা করছে।’
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হামাসের ছোড়া রকেটে এখন পর্যন্ত ২ জন শিশুসহ ১০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বহু স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে তারা।