রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ফার্মেসির মালিকসহ আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে নতুন করে আরও তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল্লাহ আমান বলেন, দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন- রাজপাড়া থানার সিপাইপাড়া এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে ইফতেখায়ের হোসেন সুমন। কাশিয়াডাঙ্গা কোট বরসি এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে লুৎফর রহমান ও বোয়ালিয়া বড়কুঠি এলাকার বাচ্চু শেখের ছেলে জনি শেখ শুভ।
এদিকে রোববার (৭ এপ্রিল) রাতে দুই ছাত্রের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এতে তাদের শরীরে বিষক্রিয়ার প্রমাণ মিলেছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ‘বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু’ বলা হয়েছে। মদপানের কারণে তাদের শরীরে এ বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাবির দুই ছাত্র।
একই ঘটনায় রুয়েটের রাকিব আহমেদ রকি নামে এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইন বিভাগের মুহতাসিম খুলনার দৌলতপুর উপজেলার কবির আলমের ছেলে। অর্থনীতি বিভাগের তূর্য রায় নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতরা গ্রামের পুর্নেন্দ্র রায়ের ছেলে। তারা দু’জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।