গো-মূত্র ও গোবরের সূত্র ধরে ৫ গরু চোরকে আটক করেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। এসময় গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মিনি ট্রাক জব্দ এবং চুরি হওয়া ২টি গরু উদ্ধার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধরমপুরার মোড়ে অভিযান চালিয়ে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ চুরি হওয়া ২টি গরু উদ্ধার করে। এর আগে গতকাল ভোরে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঘোড়াঘাট উপজেলার কারিগরী কলেজ মোড়ে চেকপোস্টে গরু চুরির কাজে ব্যবহৃত মিনি ট্রাকটি আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ট্রাক চালক সাজু মিয়া (২৭) ও একই উপজেলার কামদিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত কেফায়েতুল্লার ছেলে মজনু মন্ডল (৫৫), দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নামাকাঠাল হরিনাথপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৪), ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে সাহেব মিয়া (৩৮) এবং সিংড়া বেড়ীভিটা গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৫)।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন জানান, সোমবার দিবাগত রাতে জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার উত্তর লক্ষীপুর (চিলাপাড়া) গ্রামের আদিবাসী যোগেন সরেনের বাড়ি থেকে ২টি গরু চুরি হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ঘোড়াঘাট উপজেলার কারিগরী কলেজ মোড়ে চেকপোস্টে মিনি ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-ড-১২-০৩৬৪) থামিয়ে তল্লাশি করা হয়।
তল্লাশির এক পর্যায়ে ট্রাকের পেছনে গোমূত্র ও গোবরের গন্ধ পায় পুলিশ। ট্রাকের পেছনে গোবর দেখতে পেয়ে পুলিশ সদস্যদের সন্দেহ হয়। এসময় ট্রাকের চালক সাজু মিয়া ও ২ যাত্রী মজনু মন্ডল এবং মিজানুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা গরু চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার সুজা মসজিদ এলাকার আব্দুল করিম মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
তবে পুলিশ যাওয়ার আগে করিম গরুগুলো নিয়ে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ধরমপুরার মোড়ে অভিযান চালিয়ে ২টি গরুসহ সাহেব মিয়া ও সাইদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে আব্দুল করিম পলাতক রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, পরবর্তীতে গরুর মালিককে খবর দিলে তিনি থানায় এসে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশেনা পেলে গরু দুটি বাদীর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান। আটককৃত গরুচোরদের বিরুদ্ধে উপজেলার পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি থানায় ডাকাতি ও চুরির মামলা রয়েছে।