fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িঅন্যান্যবগুড়ার শেরপুরে পুলিশের ওপর চরমপন্থীদের হামলার

বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের ওপর চরমপন্থীদের হামলার

বগুড়ার শেরপুরে টহল পুলিশের ওপর চরমপন্থীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম নান্নু মিয়া (৪২)। রাত সোয়া ১২ টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রাত তিনটার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানিয়েছেন, নান্নু মিয়া ডান হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এতে তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।

বুলবুল ইসলাম বলেন, ভবানীপুর বাজার এলাকায় পুলিশের নিয়মিত রাত্রিকালীন টহল দল ছিল। নান্নু মিয়াসহ পুলিশের দুই কনস্টেবল ভাড়ায় চালিত সিএনজি অটোরিকশায় করে ওই টহল দিচ্ছিলেন। তাদের গাড়িটি যখন ভবানীপুর মন্দির সড়ক দিয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিল তখন চরমপন্থীরা বাজারে বিভিন্ন পোস্টারিং করে ফিরছিল। এ সময় নান্নু মিয়া তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা তাঁর ডান হাঁটুতে গুলি করে।

বুলবুল ইসলাম জানান, চরমপন্থীদের সাঁটানো ওসব পোস্টারের লেখা ছিল, ‘পাবনায় কয়েকটি বিপ্লবী সংগঠনের নামে রাষ্ট্রীয় চক্রান্তে ৬১৪জন সদস্যের নাটকীয় আত্মসমর্পণকে প্রত্যাখ্যান করুন— মার্কসবাদ, লেনিনবাদ জিন্দাবাদ।’ তিনি জানান, চরমপন্থীদের এসব সদস্য (৬১৪ জন) মঙ্গলবার (৯মার্চ) পাবনায় আত্মসমর্পণের কথা রয়েছে। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

বুলবুল ইসলাম বলেন, চরমপন্থীদের লক্ষ্য করে পুলিশ পাল্টা তিন রাউন্ড গুলি ছুড়েছিল। তবে এসব গুলি চরমপন্থীদের কারও গায়ে লেগেছে কিনা তা জানা যায়নি। তিনি জানান, সিএনজি চালক ও অপর দুই পুলিশ সদস্য অক্ষত আছেন।

ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি বাজারের নৈশ প্রহরীদের সূত্রে জানতে পেরেছেন, চরমপন্থীদের ওই দলে ২০-২৫ জন সদস্য ছিল। তারা সবাই সশস্ত্র ছিলেন। পুলিশের ওপর হামলা শেষে চরমপন্থীরা পাকা সড়ক দিয়ে হেঁটে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মধ্যে ঢুকে পড়ে।

চেয়ারম্যান আরও জানান, ভবানীপুর বাজারের ওপরই তাঁর দোতালা বাড়ি। গোলাগুলির সময় তিনি বাসার মধ্যেই ছিলেন। ভয়ে আটসাট হয়েছিলেন। গোলাগুলি থামলে নিচে নেমে আসেন।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর রাত তিনটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আহত নান্নু মিয়ার সঙ্গে আছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা নেওয়া হচ্ছে।’

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments