রাজশাহীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ মে) দুপুরে মহানগরীর কাটাখালী চৌদ্দপাই এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দু’জনের মধ্যে একজন রবিউল আউয়াল (৩২)। তিনি পেশায় একজন মোটর শ্রমিক ছিলেন।
নিহত অপরজন হলেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার থানা পাড়া এলাকার বাবর আলীর ছেলে নবাব আলী (৪৮)। নিহত রবিউল ঘটনাস্থলেই মারা যান আর নবাব আলী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহতের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের ৮ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট উপজেলার ইউনুস আলী (৬৫), রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা গ্রামের আবু রায়হান (২৩), ঢাকা আশুলিয়ার আক্তার হোসেন (৪০), বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের সুজন (৪৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তরাকু গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৫০), রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আমান উল্লাহ (৬০), পাবনার (বাস চালক) মাসুদ রানা (৬০), রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের শাফি আলম (২৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনকষা গ্রামের কোহিনুর বেগম (৩৮), রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার শালঘরিয়া গ্রামের মাহাবুল আলম (৩০), রাজশাহী মহানগরের শালবাগান এলাকার আফজাল হোসেন (৫০) ও গোদাগাড়ীর ললিতনগর গ্রামের বেনজামিন (২৪)।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে একজনকে নিহত অবস্থায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও ১৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে নবাব আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে রাজশাহীগামী হানিফ এন্টারপ্রাইজ ও বিপরীত দিক থেকে আফিয়া নামে দুইটি বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হানিফ এন্টারপ্রাইজের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে রাজশাহী আসছিল। আর আফিয়া নামের বাসটি রাজশাহী থেকে যাচ্ছিলো।
দুইটি বাসই বেপরোয়া গতিতে চলছিল। কাটাখালির চৌদ্দপাই এলাকায় গম গবেষণা ইনস্টিটিউটের কাছাকাছি পৌঁছালে বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে বলে।