নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৪০ দিন পর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন । বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
আজ সোমবার (২৫শে মে) দুপুরে ইউএনও মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছি। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৪০ দিন পর শনিবার দিনগত রাতে হঠাৎ করে তার শরীরে জ্বর আসে। এ অবস্থায় রবিবার সকালে নাটোর সদর হাসপাতালে করোনার এন্টিজেন টেস্টের জন্য নমুনা দেওয়া হয়। পরে ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে। স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছি। মাথা ব্যথা ও জ্বর আছে। দ্রুত সুস্থতার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, নলডাঙ্গার ইউএনও বর্তমানে নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাকে নিবির পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনার টিকা নেওয়ার পরও কেউ আক্রান্ত হতে পারেন, তাতে ভয়ের কিছু নেই। জেলায় এ পর্যন্ত ৮৬ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা শেষ হওয়ায় আপাতত কার্যক্রম বন্ধ আছে। খুব শিগগিরই আরও টিকা এসে পৌঁছাবে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোরে মোট ১৭ জনের করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
এ নিয়ে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২২ জনে। জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৬৫৪ জন।