দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া অন্তত দুইজনের শরীরে বিরল ছত্রাকজনিত ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হয়েছে। রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চলতি মাসে তাদের শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত করা হয় কিন্তু এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানা নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হওয়ার কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। তবে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরাও করনীয় নির্ধারণ করছেন। শিগগিরই রোগটির চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা গাইডলাইন দেব।
এদিকে দেশে প্রথমবারের মতো দুজনের শরীরে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হওয়া প্রসঙ্গে বারডেম হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লাভলি বাড়ৈ সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমাদের ল্যাবে দুইজনের শরীরে মিউকরমাইকোসিস শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। বারডেমের ল্যাবরেটরিতে করোনা রোগীর শরীরের এবারই প্রথম রোগটি শনাক্ত হয়।
ডা. লাভলি বাড়ৈ জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই তাদের সতর্কভাবে চিকিৎসা দিতে হয়।
দেশে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ শনাক্ত হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোভিড–১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আলাপ-আলোচনা করেছেন। তারাই পরামর্শ চূড়ান্ত করবেন। আমরা বিভিন্ন জেলায় সতর্কবার্তা পাঠিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে কালো ছত্রাকের চিকিৎসা কেমন হবে, ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন দেব।