টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস কোম্পানির লোক পরিচয় দিয়ে মির্জাপুরে গ্রাহকের বকেয়া গ্যাস বিল নিতে এসে গ্রেফতার হওয়া দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিতাস গ্যাস টাঙ্গাইল অফিসের ম্যানেজার মো. আব্দুর রউফ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। মামলার ছয় ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শেষ করে রাত ১২টায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
বুধবার (২৬ মে) সকালে গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ছবুর উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ আহমেদ (৩২) ও কালিহাতি উপজেলার পিচুরিয়া গ্রামের শাসছুদ্দিনের ছেলে রাশেদ তালুকদার (৩৫)।
মঙ্গলবার দুপুরে মির্জাপুর উপজেলা সদরের পোস্টকামুরী পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে টাকা, একটি ডায়েরি, তিতাস গ্যাসের ঠিকাদার প্রতিনিধির ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার ফিরোজ ও রাশেদ গ্যাস অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মির্জাপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গিয়ে গ্যাসের বিল বকেয়া ও চুলা বৃদ্ধির অজুহাতে লাইন বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিতেন। অনেক গ্রাহকের বই নম্বর কম্পিউটারে এন্ট্রি নেই বলেও ভয় দেখাতেন। পরে গ্রাহকের সঙ্গে আলোচনায় তারা টাকায় রফা করতেন। এভাবে প্রতিমাসে তারা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে নিজেদের টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাস অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে সদরের কয়েকটি বাসাবাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিল বকেয়া এবং অনুমোদনের চেয়ে বেশি চুলা জালানোর অভিযোগ এনে লাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে হুমকি দেন ফিরোজ আহমেদ ও রশিদ তালুকদার। এতে গ্রহকরা কিছুটা ভীত হয়ে তাদের সঙ্গে টাকায় রফা করেন। তারা এভাবে প্রতারণা করে কয়েকটি বাসা থেকে টাকা আদায় করেন।
দুপুরে পোস্টকামুরী পূর্বপাড়া এলাকার কয়েকটি বাসায় একইভাবে কথাবার্তা বললে তাদের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে ভুয়া পরিচয়পত্র, গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করা টাকা ও একটি ডায়েরি আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ডায়েরিতে মির্জাপুর সদরের বিভিন্ন বাসার মালিকের নাম ও ফোন নম্বর ছিল।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, মামলা হওয়ার পর ছয় ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত শেষ করে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। সূত্রঃ জাগো নিউজ।