বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ তৃতীয় বোলার হিসেবে আইসিসির বোলিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দুইয়ে প্রবেশ করেছেন। আইসিসির সদ্য প্রকাশিত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে রিয়াজের নাম সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে।
তার আগে ২০১০ সালে বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকও বসেছিলেন দুই নম্বর স্থানে। আর বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালে বসেছিলেন ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই পরপর দুইম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সিরিজ পকেটে পুরে ফেলেছে। এই জোড়া ম্যাচেই মেহেদি হাসান মিরাজ বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেছেন। চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন মেহেদি মিরাজ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পরের ম্যাচে তার শিকার ২৮ রানে ৩ উইকেট। যার পুরস্কার হিসেবে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের তিন ধাপ এগিয়ে মিরাজ এখন বিশ্বের ২ নম্বর ওয়ানডে বোলার।
আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে বোলারদের তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এসে নিজেই চমকে গেছেন মিরাজ। তিনি জানান, আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগছে। আমি কখনও ভাবিনি দুই নম্বরে উঠে আসব। যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছিলাম আমি টেস্ট বোলারই ছিলাম। কিন্তু আমি ভাবতাম, শুধু টেস্ট খেলবো না, সব ফরম্যাটেই খেলবো। ওয়ানডে ক্রিকেট শুরুর পর চিন্তাই ছিল কীভাবে পারফর্ম করে দলে অবদান রাখা যায়। তবে খুব বেশি চিন্তা করিনি। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছি, কাজ করেছি, কোন জিনিসটা করলে নিয়মিত ম্যাচ খেলতে পারব, দলের উপকার হবে।
জাতীয় দলের হয়ে ৪৯ ওয়ানডেতে ৫৪ উইকেট শিকার করা মিরাজ আরও বলেন, মনোযোগ ছিল ইকোনোমি রেট ঠিক রাখা। কারণ ইকোনোমি রেট ঠিক রাখলে দলে খেলার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের রানের জন্য অনেক তাড়া থাকে। তাই আমি মনে করেছি রান আটকানোয় যদি মনোযোগ থাকে তাহলে আমার সুযোগ বেশি থাকবে। দলের পরিস্থিতি ও গেম প্ল্যান অনুযায়ী খেলতে পারলে, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রেক থ্রু দিতে পারলে ভালো হবে।