বাসচাপায় পা হারানো রাসেলকে বিকেল ৩টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা পরিশোধ না করলে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার গ্রিনলাইনের মালিক মো.আলাউদ্দিনকে আদালতে এই মৌখিক আদশে দেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ।
এর আগে বেলা ১১ টায় হাইকোর্টে হাজির হন পরিবহনটির মালিক মো.আলাউদ্দিন। এসময় গ্রিনলাইন পরিবহনের পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, মো, আলাউদ্দিন বয়স্ক ও অসুস্থ। তার পক্ষে বারবার আদােলতে আসা সম্ভব না। রাসেলের ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে আরও এক মাসের সময় চান তিনি।
আদালত বলছেন, এটা তো কোন দুর্ঘটনা না । ছেলেটাও একটা চালক। তার একটা পা চলে গেলে। আপনারা একবারও তার খবর নিলেন না। মানবিক একটা দিক বলেও কিছু আছে। ছেলেটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিল। একটা পা কাটা পড়েছে আরেকটা পা চলে যাওয়ার পথে। আপনারা কোনো খোঁজখবর নেননি। আপনারা আপনাদের কাজ করেন, এরপর আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। আমরা আমাদের মতো আদেশ দেবো।
আপনারা দুপুর ৩টায় আবার আদালতে আসেন। এই সময়ের মধ্যে কিছুটা হলেও রাসেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রিনলাইনের মালিককে মৌখিক নির্দেশ দেন আদালত। হাইকোর্ট বলেন, যতটুকু পারেন, ক্ষতিপূরণ দেন।
এদিকে গত ৪ এপ্রিল, যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণ দিতে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ফের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন আদালতের আদেশ বস্তবায়ন না করায় গ্রিনলাইন পরিবহনের ম্যানেজারকে তলব করেন আদালত।
এ দিন পরিবহনটির মালিক মো.আলাউদ্দিনকে আদালতে হাজির হয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। নইলে ১১ এপ্রিল গ্রিনলাইনের সব টিকেট বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।