ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিজয় সরণির কলমিলতা বাজারের জমি দখলের অভিযোগ করেছেন এক শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে রোববার এমন অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই পরিবারের সদস্য নুরতাজ আরা ঐশী। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ডিএনসিসির মেয়র ও তার কর্মকর্তারা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলমিলতা বাজারের সম্পদ জবরদখল করে রেখেছেন।
হাইকোর্টের রিট মামলায় ক্ষতিপূরণ দুই মাসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না মেয়র আতিকুল। প্রয়াত আনিসুল হক মেয়র থাকাকালীন আদালতের ওই নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব ২০১৭ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার ডিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন।
ঢাকার ডিসি ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনে কিছু তথ্য চেয়ে কয়েক দফা ডিএনসিসিকে চিঠি দেয়। কিন্তু আতিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৯ সালে কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে ক্ষতিপূরণ চার হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে দুটি চেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা ঢাকার ডিসি বরাবর পাঠান। ফেরত চিঠিতে ঢাকার ডিসি ডিএনসিসি মেয়রের পত্রকে ‘দুরভিসন্ধিমূলক ও অনভিপ্রেত’ বলে উল্লেখ করেন।
লিখিত বক্তব্যে ঐশী বলেন, মেয়র আতিকের লোকজনের প্রভাব বিস্তারের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লালমাটিয়ার দুটো ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ারা দুই বছর ভাড়া দিচ্ছেন না।
এ ছাড়া মেয়র আতিক সন্ত্রাসীদের দিয়ে সাভারে নয় বিঘা জমি জবরদখল করে রেখেছেন। ডিএনসিসি মেয়রের ষড়যন্ত্রে ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত ও হেনস্তার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী, সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী, সচিব ও সংস্থাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পেও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কলমিলতা মার্কেট বহু আগ থেকেই সিটি করপোরেশনের। সেটা আমি কিভাবে দখল করলাম?
ওটা সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়া লালমাটিয়ায় দুটো ফ্ল্যাট ও সাভারে নয় বিঘা জমি দখলের অভিযোগ করেছেন-এসবের কিছুই বুঝতে পারছি না। যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে।