ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের আসল হোতা যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট ফোর্স ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডকে যুক্তরাষ্ট্র ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পরদিন গতকাল মঙ্গলবার রুহানি এই মন্তব্য করেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
রুহানির বক্তব্য দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘রেভল্যুশনারি গার্ডকে সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ার তুমি কে?’
ইরানের জাতীয় পারমাণবিক প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষে রাজধানী তেহরানে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন রুহানি। তিনি তাঁর ভাষণে রেভল্যুশনারি গার্ডের পক্ষে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এই ফোর্স সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে।
বিপরীত দিকে রুহানি মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তোলেন। তাঁর ভাষ্য, মার্কিন বাহিনী প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সব সময়ই জড়িত।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তোমরা এই অঞ্চলের দেশগুলোর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাও। তোমরাই বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের নেতা।’
রুহানি প্রশ্ন রাখেন, বর্তমান বিশ্বে কে সন্ত্রাসবাদ প্রচার ও উৎসাহিত করছে? কে আইএসকে একটি টুল হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে?
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, উগ্রবাদী জিহাদি সংগঠনগুলোর নেতাদের পুষছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি তারা এখন আইএসের নেতাদের লুকিয়ে রাখছে। আইএসের নেতারা কোথায় লুকিয়ে আছেন, তা আঞ্চলিক সরকারগুলোকে বলতে প্রস্তুত নয় যুক্তরাষ্ট্র।
গত সোমবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ কর্মসূচির নির্দেশদাতা ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে ঘোষণা করেন। প্রথম কোনো বিদেশি সরকারের একটি অংশকে সন্ত্রাসের তকমা দিল ওয়াশিংটন। এর ফলে কেউ ওই বাহিনীর সঙ্গে লেনদেন করলে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁকে সাজা পেতে হবে।