সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারী কনস্টেবলের গোপন ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় হৃদয় নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ওই নারী পুলিশ সদস্য।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম শুক্রবার দুপুর ১২টায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আসামি হৃদয়কে আটক করা হয়েছে।
মামলার বাদী এজাহারে বলেছেন, তিনি নারায়ণগঞ্জের চাঁনমারী এলাকার বাসিন্দা এবং কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে এসএএফ শাখা কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত যুবক হৃদয় খানের বাড়ি ঢাকার মগবাজার এলাকায়। হৃদয় ওই নারীর আত্মীয় এবং তাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে হৃদয়ের সাথে নিয়মিত ভিডিও কলে যোগাযোগ হতো তার।
হৃদয় খান তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতে তাদের মধ্যে একান্ত ভিডিও ফুটেজ আদান-প্রদান হয়, যা হৃদয় তার মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখে।
এজহারে ওই নারী পুলিশ সদস্য আরও বলেন, হৃদয় তার অজান্তে তার সাথে কাটানো একান্ত সময়ের কিছু ঘনিষ্ট মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেছিল। পরে যখন হৃদয়ের সাথে তার সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় তখন সে তার জি-মেইলের কন্ট্রোল নিয়ে সেখান থেকে মোবাইল ফোনের যাবতীয় নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ করে।
পরবর্তীতে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যের মোবাইল নম্বর দিয়ে বিডি পুলিশ নামের একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলে।
তিনি আরেও উল্লেখ করেন, গত ২ জুন ছুটি পেয়ে নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে আসি এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় হোয়াটস অ্যাপ চালু করে দেখি বিডি পুলিশ নামের ওই গ্রুপে হৃদয় গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।