রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরিপাড়ায় বৃষ্টির সময় একটি টিনসেড বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- সাবিনা আক্তার পাখি (১০), ঝুমা (১৪) ও বাড়িটির দারোয়ান আবুল হোসেন (৬৫)।
শনিবার (৫ জুন) বেলা ২টার দিকে মালিবাগ চৌধুরিপাড়া আবুল হোটেলের পিছনে সোনা মিয়ার গলির মাজেদা বেগমের টিনসেড বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে পাখিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুইজনকে মালিবাগ কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় তাদের।
পাখিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া আলআমিন জানান, বেলা ২টার দিকে বৃষ্টির সময় বাচ্চাটি বাসার সামনে খেলা করছিল। তখন বাসার লোহার গেট থেকে স্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। তাকে ছাড়াতে গেলে ঝুমা ও পরে আবুল হোসেনও অচেতন হয়ে পড়ে। তখন পাখিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়া যাওয়া হয়। আর বাকি দুইজনকে কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে যান শিশুটির মা গার্মেন্টস কর্মী কুলসুম আক্তার। তিনি জানান, তাদের বাড়ি ব্রাক্ষণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চড় মানিকপুর গ্রামে। বর্তমানে সোনা মিয়ার গলির ওই বাড়িটিতে এক ছেলে এক মেয়ে ও স্বামী রিকশাচালক মহসিন আলিকে নিয়ে ভাড়া থাকতো। স্থানীয় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত পাখি।
তিনি জানান, দুপুরে বৃষ্টির সময় পাখি পাশের বাসার ভাড়াটিয়া ঝুমার সাথে বাসার সামনে খেলছিল। এ সময় ঘরের লোহার দরজায় হাত দিলে বিদ্যুতায়িত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে সে। এটি দেখে ঝুমা পাখিকে ধরতে গেলে সেও বিদ্যুতায়িত হয়। পরে বাড়ির দারোয়ান তাদের দুজনকে বাঁচাতে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
হাতিরঝিল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শরিফুল ইসলাম ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃষ্টির সময় বাসার সামনের বিদ্যুতের খুঁটির উপর বজ্রপাত হয়। এতে তাদের টিনসেড বাসাটি বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুসহ তিনজন অচেতন হয়ে পড়ে। পরে ঢাকা মেডিকেলে পাখিকে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বাকি দুইজনকে মালিবাগ কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।