fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িঅন্যান্যচট্টগ্রামে শিশু হত্যায় ৫ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে শিশু হত্যায় ৫ মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের মসজিদে মাদ্রাসা ছাত্র মো. হাবিবুর রহমানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন তার বাবা। শুক্রবার ওই মামলা হওয়ার পর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক তারেকুর রহমান ও অধ্যক্ষ আবু দারদাসহ পাঁচজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাকি তিনজন হলেন- মাদ্রাসা শিক্ষক মো. জোবায়ের, মো. আনাস আলী ও মো. আব্দুস সামাদ।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, হাবিবুরের বাবা আনিসুর রহমান দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় দায়ের করা এই মামলায় ওই পাঁচজন ছাড়াও সন্দেহভাজন আরও ছয়-সাতজনকে আসামি করেছেন। আমরা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও হাফেজ তারেকসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছিলাম। মামলা হওয়ার পর তাদের পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

নগরীর ওয়াজেদিয়া এলাকার ওমর ফারুক আল ইসলামীয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মসজিদ থেকে বুধবার রাতে হাবিবের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বললেও তা নিয়ে সন্দেহ আছে ছেলেটির পরিবারের। তাদের ধারণা, হাবিবকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ১১ বছর বয়সী হাবিব ওই মাদ্রাসার হেফজ শ্রেণিতে পড়ত। খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার মধ্য বোয়ালখালী পশ্চিম পাড়ায় তাদের বাড়ি।

তার বাবা আনিসুর রহমান চট্টগ্রাম নগরীতে অটো রিকশা চালান। পরিবার নিয়ে থাকেন শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায়। তবে হাবিব মাদ্রাসার ছাত্রাবাসে থেকেই লেখাপড়া করত।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনিসুর বলেছিলেন, তিন-চারদিন আগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ তারেক মারধর করলে হাবিব বাসায় চলে যায়। পরে তাকে বুঝিয়ে মাদ্রাসায় ফেরত পাঠানো হয়। ‘বুধবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর হাফেজ তারেক ফোন করে আমাকে বলে, হাবিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। মাদ্রাসা থেকে এ খবর পাওয়ার পর বাসায় খবর নিয়ে জানতে পারি সে সেখানে আসেনি। পরে রাত ১০টার দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি আবু দারদা আমাকে মোবাইলে ফোন করে ছেলের আত্মহত্যার খবর দেন।

কিন্তু রাতে ওই মসজিদের চতুর্থ তলায় জানালার গ্রিল থেকে হাবিবের লাশ যেভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছেন, তাতেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে বাবার মনে।

তিনি বলেছেন, হাবিবের একটি হাত গ্রিলের ভেতরে ছিল, পা মাটির সাথে লাগানো ছিল। বাম পায়ের হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশের দেওয়া বর্ণনা আর ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতেও একই চিত্র দেখা যায়।

ওসি আতাউর বলেন, এটি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও তদন্তে অন্য যাদের নাম আসবে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments