দুই মাস পর পুনরায় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার আমদানিকারক জুবায়ের ইন্টারন্যাশনাল ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন।
এদিকে, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০ টাকা।
এর আগে পেঁয়াজ উৎপাদন সংকট দেখিয়ে ভারত সরকার দেশের বাইরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আমদানিকারকরা। তাদের কয়েক’শ কোটি টাকার এলসি খোলা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে কেনা পেঁয়াজ ওপারে আটকা পড়ে।
বেনাপোল কাস্টমস সুপারেন্টেন্ড আলমগীর হোসেন জানায়, বুধবার বিকেলে ভারত থেকে ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর মূল্য বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। পণ্য ছাড় করাতে ব্যবসায়ীদের আমদানি মুল্যের উপর ৫% হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করতে আমদানিকারককে সহযোগীতা করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সেজুতি এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি কমেছে ১০ টাকা। গত তিন দিন আগে বাজারে পেঁয়াজের প্রতি কেজি মুল্য ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আমদানিকৃত পেয়াজের সরবরাহ বাড়লে বাজার মুল্য আরও কমে আসবে জানান তিনি।
তিনি জানান, যখন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয় তখন সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট সদস্যদের কারসাজিতে পেঁয়াজের মূল্য আকাশছোঁয়া বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় এ দ্রব্য কিনতে বেকায়দায় পড়েন। এ ক্ষেত্রে সরকার যদি দেশে আমদানিকারকদের তালিকা ও তারা কী পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি ও বিক্রি করছেন তার তদারকির প্রতি জোর দেয় তাহলে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব কিছুটা হলেও কমবে।
বাংলাদেশের শীর্ষ পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি জনি ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ তারা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, আমদানিকারক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।