আজ রবিবার রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ জন দালালকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে রোগীদের দেওয়া কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নগরীর পরশুরাম থানাধীন নিয়ামত কদমতলা এলাকার লাল মিয়ার ছেলে মোরশেদ আলম (২৪), মাহিগঞ্জ থানাধীন তালুক রঘু পাঠানপাড়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), হাজিরহাট থানাধীন জগদিশপুর এলাকার মৃত আজিবর রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩২), রংপুর সদর উপজেলার উত্তর খলেয়ার মনোরঞ্জনের ছেলে আপন কুমার (২৩), গঙ্গাচড়ার পূর্ব পাড়া এলাকার বিষ্ণু রায়ের ছেলে উজ্জ্বল রায় (২৪), দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার ধুপাকল ফকিরহাট পাড়ার রফির উদ্দিন শাহ’র ছেলে মাসুদ শাহ (২৭), পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানাধীন খুটামারা এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মাহবুব আলম (৩৪), আটোয়ারী থানাধীন বালিয়া লক্ষিথান এলাকার রমেশ চন্দ্রের ছেলে উত্তম কুমার (২৩), নীলফামারীর জলঢাকার শোলমারী ডাকলিগঞ্জ এলাকার মঈনুল হাসান লিটুর ছেলে রিফাতুল ইসলাম (২১) ও জলঢাকার চেরেঙ্গা এলাকার দীনেশ রায়ের ছেলে কমল রায় (২৩)।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি অ্যান্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ জানান, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালালদের উৎপাত বেড়ে গেছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হতে সক্রিয় দালাল চক্রের সদস্যরা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে ভয়ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য টানাহেচড়া করাকালীন ১০ জন দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে নানা প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত ফি আদায়, হাসপাতালে রোগী পরিবহনের ট্রলি ব্যবহারের জন্য অবৈধভাবে ফি আদায়, অননুমোদিতভাবে হাসপাতালে প্রবেশ করে অবৈধভাবে বিভিন্ন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের নামে প্রতারণা করাসহ নানা অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে সাধারণ রোগীদের নিঃস্ব করে আসছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালি থানায় রংপুর মহানগরী আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দালাল নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।