পরী মনিকে ধর্ষণচেষ্টা, শ্লীলতাহানি ও মারধর জোরপূর্বক নেশা-চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানো এবং নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিদের ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশের একাধিক টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ওসি।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার জানিয়েছেন, পুলিশ আইনগতভাবে এগোচ্ছে। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর আসামিদের ধরতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আইনগত প্রক্রিয়া সবকিছু চলছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের ধরতে অভিযান চলছে। অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তদন্তের প্রয়োজনে সাভার থানা পুলিশ পরী মনির সঙ্গে কথা বলবে।
পুলিশের অপর একজন পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল রাজধানীর সীমান্তবর্তী এলাকা। বাদী এবং আসামিদের বাড়ি রাজধানীতে। তদন্ত প্রক্রিয়া এবং আইনগত কাজ সম্পন্ন করতে সাভার এবং ডিএমপি পুলিশ একযোগে কাজ করছে।
এর আগে সোমবার (১৪ জুন) সকালে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন অভিনেত্রী পরী মনি। মামলায় অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ অজ্ঞাতনামা ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (১৩ জুন) রাতে পরী মনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ তুলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। প্রতিকার চেয়ে তিনি বনানী থানায় গিয়ে কোন সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন।
ওই দিন রাতে এক ফেসবুক পোস্টে বিচার চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেন পরী মনি। যাতে তিনি অভিযোগ করেন যে সম্প্রতি তাকে ‘ধর্ষণ এবং হত্যা করার চেষ্টা’ করা হয়েছে। বনানী থানার পুলিশ রবিবার বলেছিল, তারা কোনো অভিযোগ পায়নি। রবিবার রাতেই বনানীর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন এই অভিনেত্রী। এ সময় তিনি বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন।
অভিযোগে তিনি জানান, ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তিনি বনানী থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন, সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা তার অভিযোগ রেকর্ড করেননি। এরপরে গত চারদিনেও তিনি বিভিন্নভাবে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেছেন। একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী তাকে বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন।