রাজধানীর হানিফ ফ্লাইওভারে একটি প্রাইভেটকার আটকিয়ে চালককে মারধর ও গালিগালাজ করা কিশোর গ্যাং-এর পাঁচ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তারা হলেন- ইমন আহম্মেদ শুভ (২০), মো. সুমন মিয়া (১৮), আজাহারুল ইসলাম ওরফে দোলন (২১), অন্তর হোসেন মোল্লা (২২) ও নাজমুল হাসান ওরফে সৈকত (২০)।
বুধবার (১৬ জুন) তাদেরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সাত দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এ সময় আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদ তাদের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত সোমবার রাতে র্যাব-৩ এর একটি দল সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চারিয়ে ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ী থানার করে। এ সময় সময় তাদের কাছ থেকে ৩৭৪ পিস ইয়াবা, দুটি সুইচ গিয়ার চাকু, দুটি স্টিলের ব্যাটন, তিনটি মেটাল চেইন এবং পাঁচটি বক্সিং পাঞ্চার যন্ত্র উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, গত ১৬ মে রাতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে কয়েকজন তরুণ বাইকার একটি প্রাইভেটকারের গতি রোধ করে। তারা প্রাইভেটকারের চালককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টা করেন। গাড়িতে আঘাতও করেন। এ সময় গাড়িতে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী এবং সন্তানসহ অবস্থান করছিলেন। ঘটনাটি পেছনের আরেক বাইকারের হেলমেটে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনাটির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ শুরু করে র্যাব।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, ওই তরুণরা ‘রক কিং’ নামের একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য। তারা মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন, এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং বিভিন্ন রকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও জড়িত।