ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনার আগের রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা সংলগ্ন অল কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী রাত ১১টায় ক্লাব বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু রাত প্রায় ১টার দিকে পরী মনি এক সদস্যের মাধ্যমে ক্লাবের বারে প্রবেশ করে মদ অর্ডার করেন। মদের একটি বোতল তার টেবিলেও দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়েটাররা পরিবেশন করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন পরী মনি। এক পর্যায়ে ১৫টি গ্লাস, ৯টি ট্রে ও বেশ কিছু গ্লাস ভাঙচুর করে বেরিয়ে যান। এ সময় তার সঙ্গে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন।
বুধবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ৮ জুন রাতে পরী মনির ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আমরা তাকে চিনতাম না, কোনোদিন দেখিনি। পড়ে একজনের কাছে শুনেছি ওনার নাম পরী মনি। ক্লাবের একজন সদস্যের রেফারেন্সে তিনি আসেন সেখানে। সেই সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আমরা এই মুহূর্তে কোনোভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছি না। কারণ, এতে আমাদের ক্লাবের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ হতে পারে। আমরা কোনো জিডি করিনি।
ইকবাল বলেন, আমাদের ক্লাবের ফুড অ্যান্ড বেভারেজের অ্যাডমিন এবং ডিরেক্টর বেরিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি দেখেন। দেখে তারা পরী মনিকে বলেছেন, আপনি তো ক্লাব রুল ভায়োলেট করেছেন। আপনি তো এমন করতে পারেন না। তখন উনারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। উনাদের আচার-আচরণ গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় তাদেরকে বলা হয়েছে চলে যেতে।
উনারা যাচ্ছিলেন না দেখে আমাদের পরিচালকই ক্লাব থেকে চলে যান। তারপর যে সদস্য উনাদেরকে এনেছিলেন, উনিও তাদেরকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু উনারা যাচ্ছিলেন না দেখে, ওই সদস্য নিজেও চলে যান। তারপর উনারা অকস্মাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং গ্লাস, অ্যাশট্রে ছুঁড়ে মারতে থাকেন।
তিনি জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তারা পুলিশ কল করেন। পুলিশ আসার পরে দেখতে পায়, উনি এগুলো ছুঁড়ে মারছেন। তখন পুলিশ জিজ্ঞেস করে, কেন কল করেছেন। উনারা বলেন যে, আমাদের সঙ্গে এই হয়েছে সেই হয়েছে। পুলিশ সদস্যরাই বলেন যে, এরকম কিছু তো আমরা দেখছি না। তখন কেউ ছিল না, দুইজন ওয়েটার ছিল, আর উনারা ৩ জন ছিলেন।
তারপর পুলিশ ভাইয়েরা ওয়্যারলেসে ওপরের মহলে জানতে চায়- আমরা কী করবো। তখন ওপরের থেকে নির্দেশ আসে, উনারা এরকম করতে থাকলে, তাদেরকে বের করে দিয়ে চলে যান। আমরা ক্লাব কর্তৃপক্ষ ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী, শোকজ করেছি এবং এটার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।সূত্রঃ ভোরের কাগজ।