fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িবিনোদনপরী মনির বিরুদ্ধে ক্লাবে ভাঙচুর ও বারবয়কে মারধর, অভিযোগে জিডি

পরী মনির বিরুদ্ধে ক্লাবে ভাঙচুর ও বারবয়কে মারধর, অভিযোগে জিডি

গুলশানে অলকমিউনিটি ক্লাবে পরী মনির ভাঙচুর ও বার বয়কে মারধরের ঘটনায় পরী মনির বিরুদ্ধে গুলশান থানায় জিডি করেছে ক্লাবটি। বুধবার (১৬ জুন) জিডিটি করা হয়েছে বলে গুলশান থানার কর্মকর্তারা বিষয়টি জানিয়েছেন।

এদিকে, ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরী মনিকাণ্ডের পর আরও কিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। নিয়ম ভেঙে কয়েকটি সোশ্যাল ক্লাবে মধ্যরাতে পরী মনির যাতায়াত এবং মদ্যপানের খোঁজখবর করছে পুলিশ।

কয়েকটি অভিজাত ক্লাবের কর্মকর্তারা পুলিশকে জানিয়েছেন মধ্যরাতে নিয়ম ভেঙে পরী মনির জন্য বার খোলা রাখতে হয়। তারা পুলিশকে বলছেন মদের আসড় বসানোর গল্পও। বোট ক্লাবকান্ডের আগের রাতে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবের দলবল নিয়ে ঢুকেন পরী মনি। মধ্যরাতে সেখানে তিনি ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার তদন্তে বুধবার (১৬ জুন) সন্ধায় গুলশান থানা পুলিশ সেখানে যাচ্ছে।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৮ জুন বুধবার রাতে বোট ক্লাবে পরী মনিকান্ডের তদন্তে নেমে কেচো খুড়তে সাপ বেরুচ্ছে। তার ব্যাপারে জানাতে ঢাকার একাধিক সোশ্যাল ক্লাবের কর্মকর্তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তারা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, পরী মনি তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিসহ কয়েকজন যুবক-যুবতী নিয়ে প্রায়রাতেই অভিজাত ক্লাব ও তারকা হোটেলে ঘুরে বেড়াতেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে মদ পান করতেন মধ্যরাত পর্যন্ত। এক্ষেত্রে প্রায় রাতেই তার কারণে ক্লাবের আইন ভাঙা হতো। বিশেষ করে হাফপ্যান্ট পড়ে তার সঙ্গী হওয়া জিমি ড্রেসকোডের তোয়াক্কা করতেন না কখনোই। এক ক্লাবে সময় কাটিয়ে তিনি যেতেন আরেক ক্লাবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের সব অভিজাত ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে পরীর ঘনিষ্টতা রয়েছে। তাদের রেফারেন্সে তিনি সেখানে যাতায়াত করেন।

এর আগে গত সোমবার (১৪ জুন) ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও হুমকির অভিযোগে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন চিত্রনায়িকা পরী মনি। মামলায় অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিনসহ অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৫০), ছয় জনের বিরুদ্ধে এ মর্মে এজাহার দায়ের করছি যে ৮ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় আমার বর্তমান ঠিকানার বাসা থেকে আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি, বনিসহ দুটি গাড়িযোগে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হই। পথিমধ্যে অমি বলে, বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাব লিমিটেডে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো আমরা ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। তখন অমি অনুরোধ করে, এখানে পরিবেশ সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পারো। আমরা ঢাকা বোট ক্লাবে ঢুকে টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর ১ নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ ১ নম্বর আসামি মদ্যপান করার জন্য জোর করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, মদ্যপান করতে না চাইলে ১ নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল ঢুকিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমি সামনের দাঁত ও ঠোঁটে আঘাত পাই। ১ নম্বর আসামি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে এবং আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ১ নম্বর আসামি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে রাখা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারে। তখন আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ১ নম্বর আসামিকে বাধা দিতে চাইলে তাঁকেও মারধর করে। এ সময় আমি ৯৯৯–এ কল করতে গেলে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি টান মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ২ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চারজন ১ নম্বর আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহায়তা করে। সূত্রঃ ভোরের কাগজ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments