বগুড়ার কাহালুতে আতাইর রহমান শিরু (২৪) নামের এক যুবককে চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর তার পায়ে পেরেক ও আঙুলে সুঁচ ঢুকিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে।
গত বুধবার রাতে গ্যাস সিলিন্ডার চুরি হয় অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে। এরপর তারা চোর সন্দেহে শিরুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের এই ঘটনা ঘটায়।
নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
শিরুর বাবা মজনু সোনার বলেন, গত বুধবার (১৬ জুন) গভীর রাতে শিরুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যান একই গ্রামের সেলিনা, আছিয়াসহ তার পরিবারের পাঁচ-ছয়জন। পরে তাকে সেলিনার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিরুকে গ্যাস সিলিন্ডার চুরির অভিযোগে প্রথমে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। পরে তার আঙুলে সুঁচ ও বাম পায়ে হাতুড়ি দিয়ে লোহার পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে কাহালু থানা পুলিশ শিরুকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনাটি ঘটাছে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে উপজেলা অহর মালঞ্চা গ্রামে। ঘটনার শিকার শিরুর বাবা মজনু সোনার বাদী হয়ে কাহালু থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আগের দিন বুধবার (১৬ জুন) গভীর রাতে কাহালু উপজেলার অহর মালঞ্চা গ্রামে শিরুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এ নির্যাতন চালানো হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া তিন মিনিট ছয় সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, শার্ট পরা লাঠি হাতে এক ব্যক্তি আতাউর রহমান শিরুর দুই পা বেঁধে নির্যাতন করছেন। আর চারপাশে স্থানীয়রা তা দেখছে। ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকার সর্বত্র ব্যাপক সমালোচনা শুরু হলেও পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে কাহালু থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আমবার হোসেন বলেন, ‘নির্যাতনের ঘটনায় শিরুর বাবা বাদী হয়ে থানায় পাঁচজনের নামে মামলা করেছেন। নির্যাতনকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।’