একসময় প্রেমিক নাঈম প্রেমিকার কাছে তার একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও চায়। সরল বিশ্বাসে ভিডিও কলে নাঈমের সামনে আসে কলেজ ছাত্রী প্রেমিকা। সেই সুযোগে নাঈম তার আপত্তিকর কিছু মোবাইল স্কীনশট ও মোবাইল স্কীন ভিডিও ধারণ করে।এক পর্যায়ে নাঈম প্রেমিকার সাথে একান্তে দেখা করতে চায়। ২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার সময় নাঈম বান্দরবানের লামা থেকে চকরিয়া আসে এবং স্থানীয় লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেমিকার শোবার ঘরে ঢুকে। রাতে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং তা তার ব্যক্তিগত মোবাইলে রেকর্ড করে রাখে। ভোর হওয়ার আগেই নাঈম বান্দরবান চলে যায়।
এরপর থেকে নাঈমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে প্রেমিকা কল করলে নাঈম আর কল রিসিভ করে না।
পরবর্তীতে ফোন কল রিসিভ করলেও নাঈম তাকে তার মোবাইলে কল দিতে নিষেধ করে এবং কল দিলে তাদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেয়।
ভিকটিম ছাত্রীর মা বিষয়টি জানতে পেরে চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। চকরিয়া থানা পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করে এবং এর পরপরই শুরু হয় এজাহারভুক্ত আসামি নাঈমকে গ্রেপ্তারে অভিযান।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ই জুন রাত ৮টার সময় চকরিয়া থানা পুলিশ চকরিয়া থানাধীন বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়াছড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত প্রতারক প্রেমিক মোঃ নাঈম উদ্দিন (২২) গ্রেপ্তার করে এবং তার হেফাজত হতে উপরোক্ত ঘটনায় ব্যবহৃত একটি স্মার্টফোন জব্দ করে। যার মধ্যে আলামত সংরক্ষিত ছিল।