বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে পরিকল্পিতভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন না। অনেকে বলেন তিনি মুক্তিযুদ্ধই করেননি। কেউ কেউ বলেন পাকিস্তানের অনুচর ছিলেন। তারা জিয়াউর রহমানকে খলনায়কে পরিণত করতে চায়।
শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের উদ্যোগ ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান: ইতিহাসের ধ্রুবতারা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বইটিতে ১৪ জন শিক্ষকের ও জিয়াউর রহমানের নিজের লেখা তিনটি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। রয়েছে জিয়া পরিবারের ছবি সংবলিত অ্যালবাম। বইটি পাওয়া যাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ষষ্ঠ তলায় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে শিশুদেরকে শেখানো হয় যে জিয়াউর রহমান হচ্ছেন কিলার। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে না কি জিয়াউর রহমান জড়িত। একথা সব জায়গায় বলা হয়। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন যে কর্মী সবাই একই কথা বলেন। ওটাকে আমাদের কাউন্টার দিতে হবে। আমরা যারা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি, শহিদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করি। এটা বোঝাতে হবে যে এটাতো সঠিক নয়ই, বরং উল্টোটা মিথ্যাটা তারা বলছে। কেন বলছে, কী কারণে বলছে, এটাও আমাদের বুঝতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি কখনও কাউকে ছোট করতে চাই না। যার যেটা পাওনা আছে সেটা তাকে দিতে হবে। পাওনাটা আছে যার, যিনি যুদ্ধ শুরু করলেন, অবস্থা পাল্টে দিলেন, যুদ্ধ শুরু করে দেশের স্বাধীনতার মূল কাজটা শুরু করলেন, তাকে একেবারে বাদ দিয়ে দিলেন? শুধু তাকে না, তাদের (আওয়ামী লীগ) লোকগুলোকেও বাদ দিয়েছে। ওসমানীর কথা একবারও বলে না। তাজউদ্দীনের কথা কেউ একবার উচ্চারণও করে না। মানে একজন মানুষ ছাড়া আর কোনো মানুষই নাই, এখন এই হচ্ছে তাদের ইতিহাস।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাদা দলের বর্তমান আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।