fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িজাতীয়অপরাধমেহজাবিন হতাশা, ক্ষোভ থেকেই ঘটায় এ হত্যাকান্ড!

মেহজাবিন হতাশা, ক্ষোভ থেকেই ঘটায় এ হত্যাকান্ড!

ঢাকার কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা-বাবা ও বোনকে হত্যা করেছেন বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন। তবে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন মেহজাবিনের স্বামী ও সন্তান। ঘটনার পর মেহজাবিনকে আটক করেছে কদমতলী থানা পুলিশ।

শনিবার (১৯ জুন) দুপুরে তাকে আটকের পর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ মা-বাবা ও বোনকে হত্যা ঘটনায় মেহজাবিন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

শনিবার সকালে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুলের (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অচেতন অবস্থায় মেয়ের জামাই শফিকুল ইসলাম ও নাতনি তৃপ্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্ধকার জগতের এক অজানা গল্প উঠে এসেছে। পুলিশ বলছে, পরিবারের সবার প্রতি ক্ষোভ থেকে সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মেহজাবিন।

আরও পড়ুনঃ মেহজাবিন যেভাবে হত্যা করে মা-বাবা-বোনকে

কদমতলী থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘সে (মেহজাবিন) কৌশলে বাসার সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর সবাই অচেতন হয়ে যায়। এরপরই সবার হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধে। পরে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।’

ডিএমপির ওয়ারি বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘মেহজাবিনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, বাবা দেশে না থাকায় তার মা তাকে এবং তার ছোট বোনকে (নিহত জান্নাতুল) দিয়ে দেহ ব্যবসা করাত। এসব নিয়ে প্রতিবাদও করেছিল সে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’

আরও পড়ুনঃ হত্যার পর মেহজাবিন নিজেই ফোন দেন পুলিশকে

তার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ছোট বোনকে দিয়ে ব্যবসা চলছিল। এর মধ্যে তার স্বামী ছোট বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ছাড়া মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ওমানে আরেকটি বিয়ে করেছেন। এসব মিলিয়ে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ থেকে পরিবারের সবাইকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে মেহজাবিন পুলিশকে জানিয়েছেন।

তবে মেহজাবিনের একার পক্ষে এই ঘটনা ঘটানো কতটুকু সম্ভব, এ নিয়ে পুলিশের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, ‘মেহজাবিনের স্বামীকেও আমরা সন্দেহের বাইরে রাখছি না। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সম্পত্তির বিষয়ও এখানে রয়েছে। তদন্তে এসব আসবে।’

এদিকে শনিবার রাতেই মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন হত্যার শিকার মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন।

মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments