২০ হাজার টাকা ‘ঘুষ’ দাবি করে না পেয়ে ছেলের সামনেই বাবাকে পেটানো দুর্গাপুর থানার সেই এএসআই হাফিজকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে রাজশাহীর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে এএসআই হাফিজকে রাজশাহী পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
এ এস আই হাফিজ এর সেই অনৈতিক ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে রাজশাহীর পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন পুঠিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় এএসআই হাফিজকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে স্ত্রীর দায়ের করা একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১০ জুন সন্ধ্যায় দুর্গাপুর উপজেলার চৌবাড়ীয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে আসাদুল ইসলামকে আটক করে দুর্গাপুর থানার এএসআই হাফিজ। পরে আসাদুলকে ছেড়ে দিবে মর্মে অনন্তকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সাইদুল ইসলামের কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। ঘুষের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এএসআই হাফিজ বাঁশের লাঠি দিয়ে সাইদুল ইসলামের বাম পায়ে আঘাত করেন। এতে আহত হন সাইদুল ইসলাম। এ সময় স্থানীয়রা সাইদুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন।