অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করে দারুণ লড়াই উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। অজিদের ৩৮১ রানের জবাবে টাইগারদের সংগ্রহ ৩৩৩ রান, যা ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ বাংলাদেশের স্কোর। এক পর্যায়ে তো মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ’র ব্যাটে জয়ের গন্ধও পাচ্ছিল টাইগাররা। যদিও শেষ পর্যন্ত ৪৮ রানের হার মেনে নিতে হয়, তবু বাংলাদেশের লড়াকু মানসিকতার প্রশংসায় মেতেছে পুরো ক্রিকেটবিশ্ব। পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারও তার ব্যতিক্রম নন।
নটিংহ্যামের ট্রেন্ট ব্রিজে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে অজিরা। বিশেষ করে অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬৬ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। এছাড়া উসমান খাজা ও অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাট থেকেও এসেছে বড় ইনিংস। অস্ট্রেলিয়াও গড়েছে বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের পরই ম্যাচটা যে বাংলাদেশ বিশাল ব্যবধানে হেরে যাচ্ছে তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন অনেকে। জবাব দিতে নেমে দ্রুতই ওপেনার সৌম্য সরকারের উইকেট হারানোর পর সেই নিশ্চয়তা যেন আরও গতি পায়। কিন্তু সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল আশা হয়ে ছিলেন। ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন তামিম আর ৯ রানের জন্য মিস করেছেন সাকিব। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে তামিম, সাকিবের পর লিটন দাসও বিদায় নিলে ১৭৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
যে বিষয়টা সবাইকে অবাক করেছে তা হলো, কঠিন পরিস্থিতিতেও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১২৭ রানের জুটি গড়ে ফের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুশফিক। রিয়াদের ব্যাটও ছিল প্রত্যয়ী। কিন্তু তাদের লড়াই সত্ত্বেও ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশ। এটা আবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওয়ানডে স্কোর আর চলতি বিশ্বকাপে তৃতীয় ৩৩০ এর অধিক রানের সংগ্রহ।