দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পূর্বক্ষণে নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরে সম্পর্কে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি তুলে ধরে দলটির সহযোগী সংগঠন তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৭২ বছরের পথচলার ইতিহাস বলে শেষ করা যাবে না। লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগ আরো বহু বছর টিকে থাকবে। কারণ আওয়ামী লীগ আদর্শিক রাজনীতি চর্চা করে, যা অন্য কোনো দলের নেই। এই দলের আগামীর পথচলা কেউ কোনো দিনই দমাতে পারবে না’।
তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাঙালির অধিকার আদায়ে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। এই চলার পথে বহু চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রায় প্রতিটিপদে বাধা ছিল। সব বাধা পেরিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়েছেন। এদেশের গণমানুষের আবেগের সংগঠনে পরিণত করেছেন। দীর্ঘ এই চলার পথে যারাই আওয়ামী লীগকে আঘাত হেনেছে, তারাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন পর্যন্ত প্রতিটি পরতে পরতে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিতে হয়েছে। আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি আওয়ামী লীগের হাত ধরে। জাতির পিতার সুযোগ্য নেতৃত্বে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের ২৩ বছরের বঞ্চনার ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আমরা বিজয় অর্জন করেছি। বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। জাতির পিতা সেটি করতে পেরেছেন। আর বাঙালি জাতির পিতাকে সেই ম্যান্ডেট দিয়েছিল।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের চার দশক সম্পর্কে শওকত আলী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগকে একেবারেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফিরে এসে সংগঠনটিকে ঢেলে সাজিয়েছেন। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেন। এরপর পথচলা শুরু। মাঝখানের সাত বছর বিএনপি-জামায়াত এবং সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশকে আবার পিছিয়ে নেয়।
২০০৯ সালে আবার নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনা করে আসছে আওয়ামী লীগ। এ সাড়ে ১২ বছরের অর্জন দেশ আজ সব সূচকেই বিশ্বে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের হয়েছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। জঙ্গিবাদের অবসান হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে ঈর্ষণীয় সাফল্যে পৌঁছেছে। এ সাফল্যের মূল কারিগর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।