করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করেছে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এই সুপারিশ যৌক্তিক বলে মনে করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকার কিছুদিন ধরেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এখন জাতীয় পরামর্শক কমিটি যে সুপারিশ করেছে, সেটি যৌক্তিক। সরকারেরও ইতিমধ্যে এই ধরনের প্রস্তুতি আছে। সরকারও কঠোর বিধিনিষেধের চিন্তা-ভাবনা করছে। যেকোনো সময় সরকার তা ঘোষণা দেবে।
তিনি আরও জানান, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। সে জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় সেটি চলছে। সেখানে তা কার্যকরও হচ্ছে। এখন ঢাকার চারপাশের সাত জেলাতেও কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।
এর আগের দিন গতকাল বুধবার রাতে কমিটির সভায় এ ‘শাটডাউনের’ সুপারিশ করা হয়। বর্তমানে সারা দেশে বিধিনিষেধ চলছে, যা ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলার কথা। এ ছাড়া করোনার বিস্তাররোধে ঢাকার আশপাশের সাতটি জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে।
এ অবস্থায় করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলেছে, তাদের মতামত হলো যেসব স্থানে পূর্ণ শাটডাউন করা হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। এ জন্য সারা দেশে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাটডাউনের সুপারিশ করেছে কমিটি। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, শাটডাউন মানে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছুই বন্ধ রাখার কথা বোঝানো হয়েছে।
কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।