মাদারীপুর শহরের জনগণের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য লকডাউনের চতুর্থ দিনে শহরের প্রায় ১২টি রাস্তা ব্যারিকেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এসব ব্যারিকেড দেওয়ার ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষকে শহরের প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পুরান বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকে সদর উপজেলা প্রশাসন ও মাদারীপুর পৌরসভা বিভিন্ন এলাকায় এসব ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ করছে।
এদিকে শুক্রবার লকডাউনের ৪র্থ দিনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুট হয়ে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। এদিন সকাল থেকে এ রুটের ফেরিতে শিমুলীয়া থেকে দক্ষিনাঞ্চলমুখী যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীদের ভিড় আরো বৃদ্ধি পায়। তবে বাংলাবাজার হয়ে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে সহনীয় পর্যায়ে। এদিনও ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষনই দেখা যায়নি। অনেককেই দেখা গেছে মাস্ক বিহীন। লঞ্চ বন্ধ রয়েছে । দূরপাল্লা বা আভ্যন্তরীন যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ থাকলেও ৩ চাক্কা ,২ চাকার হালকা যানবাহনে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও থ্রী হুইলার,ইজিবাইক, মোটরসাইকেলে কয়েকগুন ভাড়া গুনে ঘাটে পৌছায় যাত্রীরা। পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে সাথে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন যাত্রীরা। সকল ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে ভীড় করছে বেশি।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।