ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক একজন সহকর্মীকে চুমু খেয়ে সামাজিক দুরত্বের নীতিমালা ভঙ্গ করার পর পদত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, যে জনগণ মহামারিতে এত কিছু হারিয়েছে, সেই জনগণকে ছোট করার পর এতটুকু করা সরকারের দায়িত্ব’।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘ব্যথিত’ চিত্তে পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করতে হয়েছে তাকে।
ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে. সাবেক চ্যান্সেলর সাজিদ জাভিদকে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মি. হ্যানকক এবং জিনা কোলাড্যাঙ্গেলোর ছবি ব্রিটিশ দৈনিক সান-এ প্রকাশিত হবার পরই এই পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। পত্রিকাটি বলেছে, গত ৬ই মে স্বাস্থ্য দপ্তরের ভেতরে ছবিগুলো তোলা হয়।
কিছু খবরের কাগজ বলছে, মি. হ্যানকক তার স্ত্রী মার্থার সঙ্গে পনেরো বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটিয়েছেন। বিবিসি বিশ্বাস করে খবরগুলো সঠিক।
টোরি এবং লেবার পার্টির বেশ কয়েকজন এমপি তাকে পদচ্যুত করবার আহ্বান জানাচ্ছিলেন। টোরি পার্টির একজন বয়জ্যেষ্ঠ্য সদস্য বিবিসিকে বলেছেন, বহু এমপি শনিবার হুইপকে বলেছেন যে মি. হ্যানককের পদত্যাগ করা উচিৎ।
বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ বলেছেন, দশ নং ডাউনিং স্ট্রিট বলেছে যে, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একান্তই মি. হ্যানককের ছিল এবং প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে কোন ধরণের চাপ ছিল না।
তিনি বলেন, মিজ কোলাড্যাঙ্গেলোও ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ-এ তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মি. হ্যানকককে বলতে দেখা যায়, “দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছি”।
পদত্যাগপত্রে তিন বছর ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মি. হ্যানকক, “নীতিমালা ভঙ্গের” জন্য পুনরায় ক্ষমা চান এবং “এই পরিস্থিতিতে ফেলবার জন্য” পরিবার এবং প্রিয়জনের কাছে ক্ষমা চান।
এদিকে সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা মি. জাভিদ বলেছেন, তিনি ‘এই কঠিন সময়ে’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন।
চ্যান্সেলর হিসেবে পদত্যাগ করার ১৬ মাস পর আবার মন্ত্রীসভায় ফিরছেন মি. জাভিদ। সহকর্মীর দলকে পদচ্যুত করতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশে অস্বীকৃতি জানিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মি. জাভিদ। সূত্রঃ বিবিসি বাংলা।