আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাটি ও মানুষের আস্থার ঠিকানা আওয়ামী লীগ পালানোর দল নয়। আওয়ামী লীগের শিকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
‘জনগণ জেগে উঠলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ দেশের সকল অর্জন এবং মানুষের সুখ-দুঃখের সাথে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা, তাই পালানো যাদের স্বভাব তারাই পালানোর কথা ভাবে ও বলে। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি এবং ঠিকানা।’
জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী বিএনপিই পলায়নপরতার রাজনীতিতে অভ্যস্ত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি ভুলে গেছেন তাদের কোনো নেতা মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছে? তা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। বড় বড় কথা না বলে সাহস থাকলে সেই দুর্নীতিবাজ নেতাকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনুন।’
বিএনপি নেতারা জনগণের জেগে উঠার কথা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ জেগে উঠেছে বলেই বিএনপি’র মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে বিএনপির ভরাডুবি ঘটেছে। বিএনপি’র অপরাজনীতি এখন মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই দেশের মানুষ এখন আর তাদের বিশ্বাস করে না।
বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি শক্তিশালী হোক এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, কোমরভাঙ্গা, মেরুদণ্ডহীন এবং সিদ্ধান্তহীনতাই ভোগা কোনো দল বিরোধীদল হিসেবে সফল হতে পারে না। বিরোধীদল শক্তিশালী এবং দায়িত্বশীল হলে গণতন্ত্র বিকাশের পথ অধিকতর মসৃন হয়।
বিএনপি’র এতো শক্তি ও জনসমর্থন থাকলে ভোটের দিন দুপুরে কেন নির্বাচন থেকে সরে যায়? এমন প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাহলে আন্দোলনের বারবার ঘোষণা দিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও কেন মাঠে নামাতে পারে না?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি’র শক্তি হলো রং বেরংয়ের রঙিন মুখোশে তাদের ভিতরের মুখচ্ছবি কুৎসিত কালো এবং দেশবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সাথে যোগসাজশ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সূত্র: বাসস।