গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা।
আজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৬ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিএনপি’র বিদেশে অবস্থানকারী নেতা-মুখাপেক্ষি নির্দেশ ও দুর্বল নেতৃত্ব সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বক্তব্য রাখার সময় ছাত্রদলের একজন নেতা কয়েকজন সঙ্গীসহ বাধা প্রদান করে। এসময় তাকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি-ধামকি দেয়। ছাত্রদলের নেতাদের এমন আচরণ ও একজন রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি প্রদানে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বিক্ষুদ্ধ।
আরও পড়ুনঃ বিএনপির ক্ষমতায় আসারই ইচ্ছে নাইঃ ডা. জাফরুল্লাহ
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, আমরা উল্লেখ করতে চাই ১৯৭১ সালে যে লাখ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি তা আজ দুঃস্বপ্ন। আজকের দুর্বিসহ অবস্থার প্রেক্ষিতে যেখানে জনগণের দাবি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা সেখানে বিএনপি’র এসব নেতার এহেন আচরণে তা বাধাগ্রস্ত হবে।
বিবৃতি দেওয়া ১০ মুক্তিযোদ্ধা হলেন- মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ফারুক-ই-অযম বীর প্রতীক, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাহাঙ্গীর কবীর, অ্যাডভোকেট সুলতান আলম মল্লিক, এম এ শহীদ, হাবিবুর রহমান, আবুল বাশার ও অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান।
এদিকে, বিবৃতি দেওয়া মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান। আর ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি।
বিবৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, মত প্রকাশের অধিকারকে সম্মান করতে হবে। ডা. জাফরুল্লাহ একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তবে বিবৃতিতে ‘বিএনপির বিদেশে অবস্থানকারী নেতা-মুখাপেক্ষি নির্দেশ ও দুর্বল নেতৃত্ব’ এই বাক্যের সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ বিএনপির নেতৃত্বের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। বিএনপির নেতৃত্বে আমরা ইতিবাচক ও ঐক্যবদ্ধ আছি। আর ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্তকে নিয়ে নেগেটিভ বক্তব্য দেয়া উচিত হয়নি। আমি মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি। আমার নেতার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তো সহ্য করবো না-এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহকে হুমকি দেওয়ায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বয়স ৮০ বছর, তিনি অসুস্থ। ডায়ালাইসিস করাতে হয় সপ্তাহে ৪ দিন। দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে তো হুমকি দিতে পারে না।