রাজশাহী মহানগরীর দাসপুকুর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত শফিকুল ইসলাম ওরফে কানা শফিক (৪৫) মহানগর বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জয়নাল আবেদিন (৪৫) ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী সভাপতি।
এছাড়াও এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের একজনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাব হোসেন ও বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ওসি আরও বলেন, মাত্র তিন মিনিটের মধ্যে পরস্পরকে তারা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন ও জখম করেছে। পুলিশ যাওয়ার আগেই ঘটনাস্থল থেকে সকলে চলে যায়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে শফিকুল ইসলাম ও জয়নালকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অধিকাংশেরই মাথায় জখম হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থল ও রামেক হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব হোসেন গ্রুপের মাহাতাব হোসেন নিজে (৫০), মাহাতাবের ভাই ও রাসিকের ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেনের স্ত্রী মোসা. সালমা বেগম (৪০), মুনসুর আলীর ছেলে সোহেল (৩২)।
এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাবের পরিস্থিতি নাজুক। তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আর শফিকুল ইসলাম গ্রুপের শফিকুল ইসলাম নিজে মারা গেছেন। তার গ্রুপের আহতরা হলেন- শফিকুলের বড়ভাই ঠিকাদার সালাম (৫০), লুৎফর আলীর ছেলে সোহাগ (৩০)।