ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন কারাগারের অধীনে হাসপাতালে মোবাইল ফোন ও জুম মিটিংয়ে অংশ নেয়ার ঘটনায় আট কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অপরদিকে এই ঘটনায় কারা অধিদফতর থেকে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান ও মুন্সিগন্জের জেল সুপার নুরুন্নবী ভুইয়া এবং নারায়ণগন্জের জেলার শাহ রফিকুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে। উক্ত কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যেই বিষয়টি তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রদান করবে ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি রফিকুল আমিন কারাগারে থেকে নতুন এমএলএম ব্যবসা করছেন এবং জুমে মিটিং করছেন এমন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। বিধি বহির্ভূত এ ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রফিকুল আমিন এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সেই বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন। ২০১৪ সালের ৪ মে দাখিল করা অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় মোট ৫৩ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এবং দেশের বাইরে প্রচুর পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে ছিলেন রফিকুল আমিন। তবে, ডায়াবেটিসের সমস্যার কথা বলে গত এপ্রিলে তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন।