শুক্রবার রাত থেকে আজ শনিবার (৩ জুলাই) সকাল পর্যন্ত চারটি ফ্লাইটে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে দেশে। এর মধ্যে মর্ডানার ২৫ লাখ আর সিনোর্ফামের ২০ লাখ।
শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে প্রথম ফ্লাইটে মর্ডানার প্রথম চালান রাত ১১টা ২২ মিনিটে (২৫ লাখ ডোজের অর্ধেক) আর সকাল ৮টা ৪০মিনিটে দ্বিতীয় ফ্লাইটে বাকী প্রায় অর্ধেক মর্ডানার টিকা।
রাত সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে চীনের প্রথম চালের ১০ লাখ আর ভোর সাড়ে পাঁচটায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ দ্বিতীয় ফ্লাইটে আরো দশ লাখ (মোট ২০ লাখ) ডোজ টিকা এসেছে।
প্রসঙ্গত; দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য গত ২৯ এপ্রিল চীনের সিনোফার্মের এবং ২৯ জুন মডার্নার টিকাকে অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর আগে চীন সরকার ১২ মে ৫ লাখ ও ১৩ জুন ৬ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেয়। আর কোভ্যাক্স থেকে ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকা দেশে আসে ৩১ মে।
বুধবার (২৯ জুন) বাংলাদেশে চীনের দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব কমিশন হুয়ালং ইয়ান তার ফেসবুকে একটি পোস্টে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যিকভাবে ক্রয় করা সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা বেইজিংয়ে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত।
এর আগে গত ২৫ জুন কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেদিন তিনি বলেন, ‘টিকা পেতে গত জুনে কোভ্যাক্সকে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। সেই হিসেবে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৭ কোটি টিকা দেয়ার কথা আমাদের।’ এর ঠিক একদিন পরই কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশকে মডার্নার ২৫ লাখ ডোজ টিকা দেবে যুক্তরাষ্ট্র বলে টুইটারে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার।