ব্রাজিল নিজেদের কন্ডিশনে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য। এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচও হারেনি তিতের শিষ্যরা। দারুণ ছন্দে আছেন দলের পোস্টার বয় নেইমার। দুর্দান্ত খেলছেন গোলরক্ষক এলিসন বেকার ও এদেরসন। দুরন্ত গতিতে লড়াই চালিয়েছে যাচ্ছেন লুকাস পাকুয়েতা, ক্যাসিমোরা, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও রবার্তো ফিরমিনো।
তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয় ব্রাজিল। এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১১ গোল জমা করেছে সেলেকাওরা। হজম করেছে মাত্র ২টি।
শুক্রবার রাতে রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার-ফাইনালে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। আর নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনালের টিকিট।
এ খুশির জোয়ারের মাঝেও দুঃসংবাদ রয়েছে ব্রাজিল শিবিরে। তাহলো ম্যাচে লাল কার্ড দেখে পরবর্তী ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই সফল হয় ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরমিনোর বদলি হিসেবে নামেন পাকুয়েতা। আর তিনি তুরুপের তাস হয়ে ওঠেন।
ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেইমারের এসিস্টে চিলির রক্ষণকে পরাস্ত করে সহজেই জাল খুঁজে নেন পাকুয়েতা। দলকে ১-০ লিড এনে দেন।
এর কিছু পরেই লাল কার্ড দেখেন জেসুস। ৪৯তম মিনিটে ফুটবলের মাঠে যেন রেসলিং খেললেন জেসুস। দৌড়ে গিয়ে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে চিলির লেফটব্যাক ইউজেনিও মেনার মুখে উড়ন্ত লাথি মারেন তিনি। বুটের লাথি খেয়ে আহত হন ইউজেনি।
সরাসরি লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে জেসুসকে বের করে দেন আর্জেন্টাইন রেফারি পাত্রিসিও লোসতাও।
এই লাল কার্ড দেখায় আগামী ৫ জুলাইয়ে পেরুর বিপক্ষে সেমিফাইনালের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামাতে পারছেন না জেসুস। এমনকি শাস্তি বাড়লে ব্রাজিলের হয়ে আরও কয়েকটি ম্যাচেও দেখা যাবে না তাকে। সেই অর্থে ব্রাজিল ফাইনালে উঠতে পারলে সেটাও খেলা হবে না জেসুসের।
ম্যানচেষ্টার সিসির এই দুর্দান্ত স্ট্রাইকারকে হারিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় পড়তেই পারেন কোচ তিতে। জেসুসের অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে সেলেকাওদের জন্য দুঃসংবাদই বটে।