খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ জনের। বিভাগে এখন পর্যন্ত এটাই এক দিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর আগে গতকাল রোববার এক দিনে সর্বোচ্চ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর ২৮ জুন সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন থেকে আজ সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে ১ হাজার ১১৮টি, জিন এক্সপার্টে ৬৯টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ২ হাজার ৯৩৪টিসহ মোট ৪ হাজার ১২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ। বিভাগের মধ্যে মেহেরপুর জেলায় শনাক্তের হার সর্বোচ্চ হার ৫২ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন শনাক্তের হার সাতক্ষীরায় ২৮ দশমিক ২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, করোনায় মারা যাওয়া শেষ ৫১ জনের মধ্যে কুষ্টিয়ায় রয়েছেন ১৭ জন, খুলনায় ১৩ জন, যশোরে ৬ জন, ঝিনাইদহে ও মেহেরপুরে ৫ জন করে, বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গায় ২ জন করে এবং মাগুরায় ১ জন করে মারা গেছেন। চুয়াডাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা ১০০ ছুঁয়েছে।
এ নিয়ে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৫। মৃত্যুর হার ২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। বিভাগে করোনা শনাক্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৩৪। গত বছরের ১৯ মার্চ বিভাগে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কুষ্টিয়ায় শনাক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ২৯২ জন। এ ছাড়া খুলনায় শনাক্ত হয়েছে ২৩৯ জন, বাগেরহাটে ১২১ জন, সাতক্ষীরায় ১০২ জন, যশোরে ২৮৬ জন, নড়াইলে ৭০ জন, মাগুরায় ৩৪ জন, ঝিনাইদহে ৮৬ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৫২ জন এবং মেহেরপুরে ৮৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৩৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৪০ হাজার ৫৫৩ জন। সুস্থতার হার ৬৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ফেরদৌসী আক্তার বলেন, গত কয়েক দিন মৃত্যুর ঘটনা অনেক বাড়ছে। আজ এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা প্রথমবারের মতো ৫০ ছাড়িয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বাড়ছে, শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। শনাক্ত রোগীর চেয়ে সুস্থ হওয়ার হার অনেক কমায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিভাগের ১০ জেলায় বর্তমানে ২০ হাজারের বেশি করোনা রোগী চিকিৎসাধীন। হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়ছে। আইসিইউতে শয্যা ফুরিয়ে আসছে। শনাক্ত না কমলে হাসপাতালে চাপ আরও বাড়বে।