ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুুতে এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে শহরতলির জোড়াপুকুরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পলাশ আহম্মেদ (২২) ও তার বাবা আক্কাস আলী (৫০)। এর মধ্যে আক্কাস আলীর অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাকে প্রথমে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহত পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই এলাকার ইজাল উদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন, তাইজুদ্দিনের ছেলে খয়বার আলী খবির, মিনাজউদ্দিনের ছেলে রবিউল ও তার ভাই জামাল হোসেন, একই এলাকার মালেক, ফয়জুল্লাহ, নাজমুল ইসলাম,সুজন, মনি, সোহেল, আলি বকস, সাব্বির, নবি, কাব্বুসহ ২০/২৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পলাশ জানান, রাতে তারা বাবা বাড়ির পাশে রাস্তার উপর বসে ছিলেন। তখন আসামীরা অতর্কিত তার বাবার উপর হামলা করে। এ সময় তারা তার বাবাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তিনি বাবাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে গেলে তারা তাকেও মারধর করে। গত ৪/৫ দিন আগে আসামি মালেক ওই এলাকার কুদ্দুস শেখ নামে একব্যক্তির পুকুরের মাছ চুরি করে ধরা পড়ে। তখন তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে মালেক পালিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তার বাবা ও তার উপর হামলা করা হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই আসামিদের সাথে তাদের সামাজিক বিরোধ রয়েছে বলেও জানান আহত পলাশ।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর জামাল উদ্দিনকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। রাতেই আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।