ভারতের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদে স্থান পেয়েছেন গাইবান্ধার নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর পৈতৃক বাড়ি জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ভেলাকোপা গ্রামে। নিশীথ প্রামাণিকের গ্রামের বাড়িতে বইছে খুশির বন্যা। তার প্রতিমন্ত্রী হওয়ার খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, অল্প বয়সে সংসদ সদস্য (এমপি) থেকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় নিশীথ প্রামাণিকসহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গাইবান্ধার জনপ্রতিনিধিরা।
তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, সর্বশেষ ২০১৮ সালে ঢাকায় এসে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন নিশীথ। ভারতে অবস্থান করলেও সে আমাদের পরিবারের সন্তান। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার এই অর্জনে পরিবার ছাড়াও গ্রামের মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।
নিশীথ প্রামাণিকের জ্যাঠা দক্ষিণা রঞ্জন প্রামাণিক বলেন, নিশীথ প্রামাণিক তার ছোট ভাই বিধু ভূষণের একমাত্র সন্তান। দেশভাগের আগে ভারতের কোচবিহারে পাড়ি জমান তিনি। এরপর সেখানে বিয়ে করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে প্রথমে ঢাকায় এরপর গ্রামের বাড়ি ভেলাকোপায় বেড়াতে এসেছিলেন নিশীথ।
তিনি বলেন, ভারতে লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষকতা পেশা শুর করেন নিশীথ। কিছুদিন পরে শিক্ষাকতা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। প্রথমে ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার যুব সেক্রেটারি ছিলেন নিশীথ। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে কোচবিহারের সাংসদ (এমপি) নির্বাচিত হন।
২০২১ সালে বিধানসভার ভোটে এমএলএ নির্বাচিত হন। নিশীথ শুধু আমাদের পরিবারের না পুরো গ্রামবাসীর মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাই আজ তারা আনন্দে আত্মহারা। এজন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি আমরা চিরকৃতজ্ঞ।
নিশীথের জ্যাঠাতো ভাই সঞ্জিত কুমার প্রামাণিক জানান, কম্পিউটার বিষয়ে স্নাতক করেছেন নিশীথ। তিনি ছোট বেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মাত্র পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে নিশীথ ভারতের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। ভবিষ্যতে নিশীথ আরো ভালো করবে বলে প্রত্যাশা করছি।
ভেলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার জোসেন বলেন, নিশীথ প্রামাণিক ভারতের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। এ কারণে ভেলাকোপার মানুষ খুবই আনন্দিত ও গর্বিত।
হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান রুহুল আমিন চৌধুরী রুশো বলেন, আমার ইউনিয়নের একজন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এটা শুধু আমাদের না গাইবান্ধা জেলা তথা পুরো বাংলাদেশের গর্ব। সূত্রঃ বিডি২৪।লাইভ