fbpx
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
বাড়িরাজধানীরাজধানীর সড়কে চলছে যান, খুলেছে দোকানপাট, মানুষও চলছে স্বাভাবিক

রাজধানীর সড়কে চলছে যান, খুলেছে দোকানপাট, মানুষও চলছে স্বাভাবিক

দেশে চলমান কঠোর লকডাউনের ১১তম দিনে রাজধানীর সড়কে মানুষ ও যান চলাচল একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধের কথা বলা হলেও অফিস খোলা থাকায় আজ তা অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে চলছে। নগরীর অনেক জায়গাতেই ফুটপাতের দোকান খুলেছে। স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে পাইকারি মার্কেট গুলোর সামনে।

রাজধানীর সড়কে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল দিন দিন প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। রাস্তায় প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি পণ্যবাহী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট থাকলেও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের তৎপরতায় ঢিলেঢালাভাব লক্ষ্য করা গেছে। উত্তরায় বিমানবন্দর সড়কে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও অনেকটা বাধাহীনভাবে চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন। সেই সঙ্গে পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কিছু যানবাহন থামিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

রাজধানীর বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে হেঁটে হেঁটে ও ভ্যানগাড়িতে করে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ।

অন্যান্য এলাকার চেকপোষ্টগুলোতে একটি গাড়ি থামিয়ে বাইরে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার মধ্যেই ৫ থেকে ৮টি গাড়ি নির্বিঘ্নেই চেকপোস্ট পার হয়ে চলে যাচ্ছে। আজও সব সড়কে রিক্সার দাপট থাকলেও কোনো সড়কেই রিকশা থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়নি। নগরীর সায়েন্স ল্যাবরেটরী, ধানমন্ডি রাসেল স্কয়ার, নীলক্ষেত, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও শাহবাগ এলাকায় যানবাহনের চাপের কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠানসহ বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় অফিস করার জন্য এই লোকজন আজও বাইরে বের হয়েছে। এ কারণে যানজট ও মানুষের চলাচল গত কয়েক দিনের তুলনায় বেশি বলে পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন। সকাল সাড়ে নয়টা দশটার দিকে রাস্তায় যানবাহনের চাপ সবচেয়ে বেশি ছিলো। মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, কলেজ গেট ও শ্যামলী এলাকায় স্বাভাবিকভাবে সড়কে যান চলাচল করেছে।

এদিকে নগরীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, পান্থপথ, গুলিস্তান, ফকিরাপুল ও বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে প্রচুর পরিমাণে দোকানপাট বসতেও দেখা গেছে। রাজধানীর কলেজ গেট, পান্থপথ, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকায় ফুটপাতে অনেক দোকান খুলতে দেখা যায়।

কলেজ গেট এলাকায় হাসপাতালে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় নানান ধরনের জিনিসপত্র বিক্রেতা মোর্শেদ জানান, লকডাউন থাকলেও পেটের দায়ে তাকে দোকান খুলতে হয়েছে। হাসপাতালের সামনে হওয়ায় বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় কাঁচামালসহ সব ধরনের পণ্যের পাইকারি বেচাকেনা হয়। কঠোর লকডাউনের মধ্যে এলাকার মার্কেট এবং ফুটপাতে সব দোকান আজও খোলা দেখা গেছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় কাঁচামালের আড়ত, মাছের আড়ত, ফলের আড়ত সহ বিভিন্ন পণ্যের বড় বড় আড়ত রয়েছে। এই এলাকার সব জায়গায় একেবারেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কঠোর বিধিনিষেধের কোনো ছাপ এলাকায় দেখা যায়নি। একই অবস্থা দেখতেছি মোহাম্মদপুরের বেরিবাঁধ সংলগ্ন সাদেক খান কৃষি মার্কেট, মুরগির পাইকারি মার্কেট, শুটকির পাইকারি মার্কেটসহ সর্বত্রই দোকানপাট খোলা হয়েছে। সূত্রঃ ভোরের কাগজ।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments