যশোরের শার্শা উপজেলায় ১৩ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (২৬ জুলাই) রাতে উপজেলার বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি ওই এলাকার একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। বামুনিয়া সোনাতনকাটি গ্রামের ধর্ষণের শিশুটি সোমবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল।
এসময় উপজেলার সেনাতনকাটি গ্রামের আক্তারুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন (১৮), শফিকুল ইসলামের (কলু) ছেলে সুমন (১৮) ও পার্শ্ববর্তী কলারোয়া উপজেলার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে নাহিদ হাসান (২৫) তার মুখ চেপে ধরে পাশের পুকুরপাড়ের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে তারা পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টাও করে ধর্ষণকারীরা। এসময় শিশুটির স্বজনদের চিৎকারে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই থানায় মামলা হলে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাগর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, ‘আমি গরিব ও ভ্যানচালক হওয়ায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ঘটনা জানাজানি করলে আমাকে জীবননাশের হুমকি দেয়। সোমবার রাতে সামাজিক বিচারের নামে গ্রামের প্রভাবশালীরা একটি ঘরে আমাদের আটকে রাখে। পরে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে।’
শার্শা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘তিনজনের নামে শার্শা থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সাগর স্বীকার করেছে তারা তিনজন এ অপকর্মে লিপ্ত ছিল। অন্য দুইজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’