বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও এর উপসর্গ নিয়ে আরও ২০ জন মারা গেছেন।একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৬৫৬ জন। ২৪ ঘন্টায় বিভাগে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার হচ্ছে ৩৮ দশমিক ৫৬।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার এই হিসাব বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, ২৪ ঘন্টায় বিভাগে মোট এক হাজার ৭০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৬৫৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। একই সময়ে শনাক্ত ঝালকাঠীতে ৩ জন, বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনায় ২ জন করে এবং ভোলা ও পিরোজপুরে ১ জন করে মারা গেছেন।
বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা জাকারিয়া খান স্বপন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ৯ জন মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের আরটিপিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৬৫ ভাগ।
গত দুইদিন যাবত শনাক্তের হারে বিভাগের মধ্যে শীর্ষে ভোলা জেলা। গত ২৪ ঘন্টায় এ জেলাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ২০ভাগ। জেলায় ২৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। শনাক্তের সংখ্যা বেশি বরিশাল জেলায় ২৬৫ জন। এ জেলায় ৬০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৪ ঘন্টায়। শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ৮০ ভাগ।
পটুয়াখালী জেলাতে শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৮২ ভাগ। এ জেলাতে ৪৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। ঝালকাঠী জেলায় ৪৮জন শনাক্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষা করা হযেছে ১৫১ জনের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৭৯ ভাগ।
পিরোজপুরে ৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জন এবং বরগুনায় ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ দুই জেলাতে শনাক্তের হার যথাক্রমে ২৭ দশমিক ৯১ এবং ১৭ দশমিক ২৮।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩০১ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তার মধ্যে শনাক্ত হওয়া রোগী ১৩৩ জন।