বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩২২ জন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫৬ দশমিক ২১।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয়জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে বরিশালে দুইজন, পটুয়াখালীর একজন, ভোলায় দুইজন ও ঝালকাঠিতে তিনজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬৯ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩২২ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৪৪ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ১১৯ জন নিয়ে মোট ১৩ হাজার ৮৮০ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ২৮ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ২৮০ জন, ভোলায় নতুন ১৫৯ জনসহ মোট ৩ হাজার ৮১৭ জন, পিরোজপুরে নতুন ৯ জনসহ মোট ৪ হাজার ৩২৭ জন, বরগুনায় নতুন ১ জন নিয়ে মোট ২ হাজার ৮৫৭ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ৬ জন নিয়ে মোট ৩ হাজার ৯৮৩ জন রয়েছেন।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয়জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৭৭৬ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৭৭৬ জনের মধ্যে ১১৩ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল পর্যন্ত) শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৩ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৩৪০ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ১৪৩ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৯৭ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ২০২ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৫৬ দশমিক ২১ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।