জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, “জনগণের সীমাহীন অমানবিক দুর্ভোগে রাষ্ট্র তথা সরকার দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না। নাগরিকের দুর্ভোগে সরকারকে অবশ্যই মানবিক হতে হবে।”
গার্মেন্টস শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরাকে কেন্দ্র করে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে আজ গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, সরকারের উচিত এই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ কষ্টের জন্য শ্রমিকদের কাছে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করা। গার্মেন্টসহ সব রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের সঙ্গে যে গণপরিবহন খোলা রাখার বিষয়টি সম্পৃক্ত সরকারের মধ্যে এটুকু বিবেচনাবোধ থাকলে আর শ্রমিকদের এই দুর্ভোগ হতো না। ঢাকামুখী মানুষের স্রোত, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, উপচে পড়া ভিড় সীমাহীন দুর্যোগ এবং দুর্ভোগের দৃষ্টান্তের ঘটনা নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের অমানবিকতা প্রতিফলিত হয়েছে। এ ধরনের অদূরদর্শী ও অপরিকল্পিত ঘটনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে বুকের রক্ত দিয়ে রাষ্ট্রের উপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করেছে, কারো বা কোন প্রতিষ্ঠানের অবহেলা পাওয়ার জন্য নয়।
ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে এবং যথাযথ পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
করোনায় স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য সরকারকে ছয়টি প্রস্তাব দেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
প্রস্তাবগুলো হলো- কর্মরত শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদানসহ প্রতিটি কারখানায় করোনা পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন, আক্রান্ত শ্রমিকদের কারখানা মালিকের ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ, শ্রমিকদের কারখানায় যাওয়া আসার জন্য মালিকের ব্যবস্থাপনায় পরিবহন নিশ্চিত করা; চাকরিরত শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হলে সরকারি কর্মচারীদের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং বিভিন্ন উৎসবে ছুটি অথবা কারখানা বন্ধ বা খোলার সাথে সরকারের লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে ও পরিবহন চলাচলের সমন্বয় করতে হবে।