প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের হাত ধরে পরীমনি নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। তবে এ জন্য পরীমনিকে শর্তের জালে জিম্মি করেন রাজ। শর্ত অনুযায়ী রাজের বনানীর ভাড়া বাসায় ৩ বছর থাকতে বাধ্য হয় পরীমনি।
পরীমনির রাজের সাথে বনানীর ভাড়া বাসায় থাকাকালীন সময়ের এক পর্যায়ে বাড়িতে ওঠেন রাজের স্ত্রী ইশরাত জাহান জুই। নিজের স্ত্রী এবং পরীমনিকে নিয়ে একই বাসায় থাকতে শুরু করেন রাজ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। শুধু রাজ নয়, চলার পথে পরীমনিকে মোকাবিলা করতে হয়েছে এ ধরনের নানা চ্যালেঞ্জ। অনেকেই সুযোগ মতো নিজেদের কাজে পরীমনিকে ব্যবহার করে আখের গুছিয়ে নিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে রাজের স্ত্রী ইশরাত জাহান জুই এর দাবি করেন, তিনি ওই ফ্ল্যাটে ওঠার পর পরীমনিকে দেখেননি।
এই সিন্ডিকেটের হয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সর্বশেষ ঢাকার আশুলিয়ায় বোট ক্লাবে ধর্ষণের অভিযোগে তদন্তাধীন মামলার তদারকি কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন সিথিলও প্রেমের সম্পর্কের নামে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা শুরু করেন পরীমনির সঙ্গে।
সূত্র জানায়, প্রযোজক রাজের নেতৃত্ব রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থে পরীমনিকে ব্যবহার করেছে। বিনিময়ে পরীমনিকে খ্যাতি ও অর্থের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এ রকম অন্তত দুই শতাধিক মডেল-নায়িকাকে নিজের কবজায় রেখেছেন রাজ। সুযোগ মতো তাদের কাজে লাগিয়ে স্বার্থ হাসিল করেন রাজ।
গত ৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং তার সহযোগী মো. মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রাজধানীর অভিজাত এলাকার গুলশান, বারিধারা ও বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টি আয়োজনের বেশ কয়েকটি স্থানের তথ্য প্রদান করে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে গত বুধবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বনানী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে শামসুর নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমনি, মো. নজরুল ইসলাম ওরফে রাজ, পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দীপু ও রাজের ম্যানেজার সবুজ আলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
