রাজশাহীর পদ্মায় বন্ধুর সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার মরদেহ মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই কলেজ ছাত্রের নাম জাবেদ আলী জনি (২৫)। তার বাবার নাম ইয়াসিন আলী। তাদের গ্রামের বাড়ি পাশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে। তবে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন রাজশাহী মহানগরের রায়পাড়া এলাকায়। জনি রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগ থেকে সদ্য অনার্স শেষ করেছেন।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক সংলগ্ন আই-বাঁধ এলাকায় গোসল করতে নেমে স্রোতের তোড়ে পানিতে তলিয়ে যান কলেজ ছাত্র জাবেদ আলী জনি। এ ঘটনায় তার বন্ধু সাজ্জাদ হোসেন সাঁতরিয়ে নদীপাড়ে উঠে আসেন। এরপর খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চার সদস্যের ডুবুরি দল। তারা রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে অন্ধকারের কারণে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে তারা আবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর দফতরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, রবিবার দুপুরে জনি তার বন্ধু সাজ্জাদের সঙ্গে পদ্মাপাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তারপর আই-বাঁধে মোটরসাইকেল রেখে তারা নদীতে গোসল করতে নামেন। কিন্তু স্রোতের মুখে পড়ে একজন তীরে এলেও জনি নদীতেই তলিয়ে যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল গিয়ে পদ্মা নদীতে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। কিন্তু গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। সোমবার সকাল ৭টা থেকে দ্বিতীয় দফায় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। যেখানে ডুবেছিল ঠিক সেখানেই তার মরদেহ মিলেছে। পরে তার মরদেহ কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এক ছাত্রের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।