ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের ৭দিন পর শাহাদাত হোসেন (২৪) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শাহাদাত উপজেলার আমরাইল গ্রামের কোহিনুর মিয়ার ছেলে। তিনি বারইপাাড়া এলাকায় ওয়ালটন কারখানায় এলইডি স্টোরে চাকরি করতেন।
বুধবার সকালে উপজেলার আমরাইল রামভদ্রপাড়ার একটি পরিত্যক্ত ভিটায় রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে প্যাঁচানো অবস্থা মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছ। এমনকি তার চোখ দুটি উপড়ে ফেলেছে খুনিরা।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহাদাত হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। আগামী শনিবার তার বিবাহ হওয়ার কথা ছিল। বাড়ির একমাত্র ছেলে শাহাদাত। তাই তার বিয়ে নিয়ে পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ চলছিল। বিয়ের কেনাকাটা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। বিয়ের ছুটি আনতে শাহাদাত বাড়ি থেকে গত ১ আগস্ট কর্মস্থল বারইপাড়া যায়। ৩ আগস্ট মাকে ফোন করে বলেছে বিয়ের ছুটি পাস হয়েছে, আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব। ৫ আগস্ট তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায় তার স্বজনরা।
মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় শাহাদাতের বাবা কোহিনুর মিয়া ছেলের কর্মস্থল ও বাসায় খোঁজ নিয়ে তাকে না পেয়ে কালিয়াকৈর থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। গতকাল সকালে স্থানীয়রা আমরাইল রামভদ্রপাড়ার নির্জন একটি পরিত্যক্ত ভিটায় অর্ধগলিত একটি লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। এ সময় শাহাদাতের পরিবারের লোকরা লাশ শনাক্ত করেন। নিহতের মা একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন।
নিহত শাহাদাতের বাবা কোহিনুর মিয়া জানান, তার ছেলে বিয়ের ছুটি আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল। তার সঙ্গে ও তার ছেলের সঙ্গে কারও কোনো রকম ঝগড়া-বিবাদ নেই। ছেলের খুনিদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি করেন তিনি।